ছবিঃ সংগৃহীত
৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার পর ৪২ হাজার ইসরায়েলি নারী বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। ইসরায়েলের ডানপন্থি সরকার এবং এর উগ্র ডানপন্থি নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গাভিরের উদ্যোগে বন্দুক আইন শিথিল করার বদৌলতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, হামলার পর থেকে বন্দুকের অনুমতির জন্য ৪২ হাজার নারীর আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। এই সংখ্যা যুদ্ধের আগে অস্ত্রের লাইসেন্স থাকা নারীদের চেয়ে তিনগুণ বেশি। বর্তমানে ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের ১৫ হাজারেরও বেশি নারীর হাতে এখন অস্ত্র রয়েছে। এদের মধ্যে ১০ হাজার বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।
ইসরায়েলিদের অনেকে দাবি করেছেন ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক লিমোর গোনেন অ্যারিয়েল বলেন, ‘আমি কখনও অস্ত্র কেনার বা লাইসেন্স পাওয়ার কথা ভাবিনি। কিন্তু ৭ অক্টোবর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা বদলে গেছে।’
তবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রী বেন গাভির হামাসের হামলার এক বছর আগেই অস্ত্রের লাইসেন্স আইন সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বেসামরিক ইসরায়েলিদের জন্য আইন শিথিল করার কথা বলেছিলেন।
তিনি অস্ত্রধারী বেসামরিক নাগরিকদের সংখ্যা বাড়ানো এবং ‘আত্মরক্ষার ক্ষমতা বৃদ্ধি’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বেন গাভিরের অধীনে বন্দুকের লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত হয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, হামাসের আক্রমণের পরপরই কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন শত শত আবেদন মঞ্জুর করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com